১. ওয়েলশ মনোভাব (২০২১)
২. ওয়েলশ মনোভাব (২০১৯)
৩. মানসিক স্বাস্থ্য
৪. পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য
৫. কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য
১. টাইম টু চেঞ্জ ওয়েলস, এর পক্ষ থেকে কান্তার কতৃক ওয়েলসে মানসিক অসুস্থতার প্রতি জনসাধারণের মনোভাবের সমীক্ষা, ২০২১
গত কয়েক বছরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও, বিশেষত কোভিড -১৯ মহামারী সময়ে, ওয়েলসের অনেক লোকের মানসিক স্বাস্থ্য লজ্জা একটি সমস্যা হিসাবে অব্যাহত রয়েছে।
মানসিক অসুস্থতার প্রতি ওয়েলশ জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতির রিপোর্ট উৎসাহজনক, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ৫% বেশি সচেতন এবং সহনশীল যা আনুমানিক ১২৯,০০০ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিনিধিত্ব করে।
যাইহোক, এই উন্নতি সত্ত্বেও, লজ্জাজনক মনোভাব এখনও বিদ্যমান:
● ৮ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন কিছু আছে যা তাদের স্বাভাবিক মানুষের থেকে বলা সহজ।
● ১০ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে মানসিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হল আত্ম-শৃঙ্খলা এবং ইচ্ছাশক্তির অভাব।
● ৮ জনের মধ্যে ১ জন বিশ্বাস করে যে একটি আবাসিক এলাকায় মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি অবস্থান ঐ এলাকাকে নিম্নস্থরে পরিনত করে।
● ১০ জনের মধ্যে ১ জন মনে করে যে মানসিক সমস্যার ইতিহাস আছে এরকম কাউকে সরকারী পদে নেওয়া থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং নিয়োগকর্তাদের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক ওয়েলসে লোকেদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার সাথে সাহায্য প্রার্থনার মানষিকতার পতন ঘটেছে।
যে সমস্ত লোকেরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বন্ধু এবং পরিবারের সাথে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন তাদের সংথ্যা ২০১৯ সালে ২০% থেকে দ্বিগুণ হয়ে ২০২১ সালে ৪৩% হয়েছে৷ ৬৯% লোক বলেছেন যে তারা বর্তমান বা সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন যে সংখ্যা ২০১৯ সালে ৩৭% ছিল।
সমীক্ষাটি আরও প্রকাশ করে যে আরও বেশি পরিমান লোক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, কারণ ৪ জনের মধ্যে ১ জন বলেছেন যে তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যের মানসিক সাস্থ্য সমস্য রয়েছে যেটা গত বছরে ছিল (২০১৯ সালে ৫ জনের মধ্যে ১ জন)। অধিকন্তু, উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি (৫২%) মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল অথবা এমন কাউকে চিনেন যার গত ১২ মাসে মানসিক সাস্থ্য সমস্যা ছিল।
সমীক্ষাটি আরও উল্লেখ করে যে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে তারা মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীদের দ্বারা কোন না কোনভাবে অন্যায় আচরনের শিকার হয়েছেন (২০১৯ সালে ৪% থেকে ১৫%)।
সমাজের কিছু নির্দিষ্ট অংশে, যেমন, C2DE, কর্মক্ষেত্র, বয়স্ক মানুষ, পুরুষদের ক্ষেত্রে লজ্জা একটি সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান।
২. টাইম টু চেঞ্জ ওয়েলস, এর পক্ষ থেকে কান্তার কতৃক ওয়েলসে মানসিক অসুস্থতার প্রতি জনসাধারণের মনোভাবের সমীক্ষা, ২০১৯
● ৮ জনের মধ্যে ১ জন বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
● ৮ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন কিছু আছে যা তাদের স্বাভাবিক মানুষের থেকে বলা সহজ।
● ১০ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে মানসিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হল আত্ম-শৃঙ্খলা এবং ইচ্ছাশক্তির অভাব।
● ১০ জনের মধ্যে ১ জন বিশ্বাস করে যে একটি আবাসিক এলাকায় মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি অবস্থান ঐ এলাকাকে নিম্নস্থরে পরিনত করে।
● ১০ জনের মধ্যে ১ জন মনে করে যে মানসিক সমস্যার ইতিহাস আছে এরকম কাউকে সরকারী পদে নেওয়া থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
● ১২ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিদের কোনো দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।
● ১২ জনের মধ্যে ১ জন লোক বিশ্বাস করে যে একজন মহিলা এমন একজন পুরুষকে বিয়ে করা বোকামী হবে যিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন, যদিও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে মনে হচ্ছে।
● ১২ জনের মধ্যে ১ জন মনে করেন যে আবাসিক এলাকায় মানসিক সমস্যাযুক্ত লোকেদের বসবাস ভীতিকর।
● ১৬ জনের মধ্যে ১ জন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির প্রতিবেশী হতে চায় না।
● এই সমিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান এবং আচরণ ভেদে লজ্জার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংজ্ঞা এবং স্কেল ব্যবহার করা হয়েছে।
● 2018 সালের বিগ মেন্টাল হেলথ সার্ভের সমিক্ষায় দেখা গেছে যে ওয়েলসের উত্তরদাতাদের ৮২% জীবনের অন্তত একটি ক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছেন (পরিবার, একজন পিতামাতা হিসাবে, বন্ধুত্ব/সম্পর্ক, সামাজিক জীবন, দৈনন্দিন জীবন, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে, কর্মসংস্থান, শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য পাওয়া, জনসাধারণের মধ্যে, অনলাইনে)।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য
● ৪ জনের মধ্যে ১ জনের একজনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। (অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স, সাইকিয়াট্রিক মর্বিডিটি, ২০০৭)
● ৬ জনের মধ্যে ১ জন সপ্তাহে অন্তত একটি সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় (যেমন স্ট্রেস, উদ্বেগ বা বিষণ্নতা) ভুগছেন। (অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স, সাইকিয়াট্রিক মর্বিডিটি, ২০১৪)
● ওয়েলসে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা বিল এবং সামাজিক সুবিধা খাতে বছরে আনুমানিক খরচ £৭.২ বিলিয়ন। (মেন্টাল হেলথ রিসার্চ নেটওয়ার্ক, ২০০৯)
● প্রতি বছর ওয়েলসে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন মানুষ আত্মহত্যার কারণে মারা যায়, যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যার তিনগুণ (টক টু মি, সুইসাইড এন্ড সেলফ হার্ম রিডাকশন স্ট্রাটেজি ফর ওয়েলস, ২০১৫-২০২০)
● ওয়েলসে, ৫ জনের মধ্যে ১ জন তাদের বন্ধু বা পরিবারের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য নির্ণয়ের বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
২০১৬-২০১৭ ন্যাশনাল সার্ভে ফর ওয়েলসে পাওয়া গেছে যে:
● অধিক সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সুস্থতার মাত্রা কম
●কর্মরত প্রাপ্তবয়স্কদের বেকার বা অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকদের তুলনায় সুস্থতার মাত্রা বেশি থাকে
● একাকীত্বের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে সুস্থতার মাত্রা হ্রাস পায়
● বেসরকারি ভাড়ায় বা সামাজিক আবাসনে বসবাসকারী ব্যক্তিদের তুলনায় বাড়ির মালিকদের সুস্থতার উচ্চ স্তর রয়েছে৷
● সুস্থ জীবনধারার লোকেদের সুস্থতার মাত্রা বেশি
● (ওয়েলশ সরকার ২০১৭)
● ওয়েলশ হেলথ সার্ভে (২০১৬) তে দেখা গেছে যে অল্প সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ৮% প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য চিকিত্সা করা হয়েছে অধিক সুবিধাবঞ্চিত এলাকার ২০% প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়। (ওয়েলস সরকারের জাতীয় সমীক্ষা ২০১৭)
● আত্মঘাত ওয়েলসে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা, এর ফলে প্রতি বছর ৫৫০০ জন হাসপাতালে জরুরি ভর্তি হয়। (টক টু মি, সুইসাইড এন্ড সেলফ হার্ম রিডাকশন স্ট্রাটেজি ফর ওয়েলস, ২০১৫-২০২০)
● হতাশা বিশ্বে স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ: বিশ্বব্যাপী সব বয়সের ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি লোক এর ভুক্তভোগী৷ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০১৭)
● বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬০ মিলিয়ন মানুষ বাইপোলারএর শিকার হয়। (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮)
● ২০২০ সালের মধ্যে মানসিক অসুস্থতা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি বিশ্বব্যাপী রোগের চাপের তালিকায় হৃদরোগের পরে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)
● বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৩ মিলিয়ন মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮)
৪. পুরুষদের স্বাস্থ্য সমস্যা
● মাত্র ২৯% পুরুষ বলেছেন যে তারা মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত কাউকে চেনেন ,৪০% নারীর তুলনায় (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
● পুরুষরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বন্ধু বা পরিবারের সাথে আলোচনা করতে কম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন – ৬৮% মহিলাদের তুলনায় ৫৯% পুরুষ। (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
● মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় একজন বন্ধুকে কীভাবে পরামর্শ দিতে হয় তা জানার সম্ভাবনা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের কম –৫৫%, ৭০% মহিলাদের তুলনায় । (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
● পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে বলে মনে করলে সাহায্যের জন্য জিপি-এর কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা মহিলাদের তুলনায় কম - ৭৫% পুরুষ, ৮৪% মহিলা৷ (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
● পুরুষদের আত্মহত্যার সম্ভাবনা মহিলাদের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি। (টক টু মি, সুইসাইড এন্ড সেলফ হার্ম রিডাকশন স্ট্রাটেজি ফর ওয়েলস, ২০১৫-২০২০)
● পুরুষদের আত্মহত্যার প্রবনতা বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে সাহায্য চাইতে অথবা বিষণ্ণতা বা আত্মঘাতী অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলার ইচ্ছা মহিলাদের তুলনায় কম। (মেন, সুইসাইড এন্ড সোসাইটি, সামারিতান রিসার্চ রিপোর্ট,২০১২)
● খুব বিষণ্ণ বোধ করেছেন এরকম পুরুষদের শুধুমাত্র ৫৫% বলেছেন যে তারা এসম্পর্কে কারো সাথে কথা বলেছেন। (সি এ এল এম, পুরুষত্ব নিরীক্ষা, ২০১৬)
৫. কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য
• ওয়েলসে, ৫ জনের মধ্যে ২ জন নিয়োগকর্তার সাথে মানসিক স্বাস্থ্য নির্ণয়ের বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। (পাবলিক এটিচুউডস টু মেন্টাল ইলনেস ইন ওয়েলস, ২০১৯)
● জরিপ করা সমস্ত কর্মচারীদের অর্ধেক (৪৮%) তাদের বর্তমান চাকরিতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে তাদের নিয়োগকর্তার সাথে কথা বলেছেন। (মাইন্ড, ২০১৮)
● যুক্তরাজ্যে কর্মচারীদের ৬০% কাজের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছেন, অথবা কর্মস্থল এর কারণ হিসাবে ছিল। ( বিজনেস ইন দা কমিনিউটি , মেনটাল হেলথ এট ওয়ার্ক রিপোর্ট,২০১৭)
● স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হতাশা আমাদের সমাজে অসুস্থতার কারনে অনুপস্থিতির সবচেয়ে বড় কারণ যার ফলে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে অনুপস্থিতির সংখ্যা ১৫,৮ মিলিয়ন দিন। ( অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স, সিকনেস এবসেন্স ইন দা লেবার মার্কেট, ২০১৬)
● মানসিক অসুস্থতার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়োগকর্তাদের বছরে আনুমানিক £৩৫ বিলিয়ন খরচ হয়। (সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ, মেন্টাল হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক: দ্য বিজনেস কস্টস টেন ইয়ার্স অন, ২০১৭)